তুমি যখন আলোর কাচ ভেঙে
খুঁজছিলে অন্ধকারের দ্যুতি, আমি তখন
নদীর বুকে কান পেতে শুনছিলাম
গুপ্তধনের নিঃসঙ্গ আহাজারি। তোমার কলহাস্যে
ভাঙলো পাখির উদাসীনতা, আমি
পা ভিজিয়ে নিলাম লাবণ্যহীন বেদনার জলে।
তুমি দু’হাতের চুড়ি ভেঙে সময়কে
চমকে দিলে, আমি আকাশকে বললাম,
‘রঙধনুর ক্ষণস্থায়ী সৌন্দর্য নিয়ে
অহংকার করার কিছু নেই’। তুমি
হাওয়ায় আঁচল উড়িয়ে ছায়া দিলে
কবিতার নগরীতে, আমি পাহাড়ের গোপন
কান্না শুনে গলা সেধে নিলাম
বিলম্বিত রাগে। তুমি যখন স্বপ্নাবিষ্ট হয়ে
পেরুচ্ছিলে পথের পর পথ, আমি
পথের ধুলো থেকে কুড়িয়ে নিচ্ছিলাম
বলা, না বলা কথা, বিনম্র স্মৃতি।
তোমার খোঁপায় বসলো যেই
ভোরের প্রজাপতি, আমার চোখে
জমে গেলো অস্তাচলের রঙ।