ঃ মুখ তোল, চেয়ে দেখ, কুয়াশা নিংড়ে এনেছি
দীর্ঘশ্বাসের রঙ, বৃষ্টির পালক ঝেড়ে শিশিরের কান্না, ঝর্ণার
জলপ্রপাত থেকে চলমান ছন্দ। নতুন স্বপ্নে এবার দু’চোখ খোল।
ঃ তুমি কেবলই স্বপ্নের অনুরণন তোল। স্বপ্নের বিপরীতে
কষ্টের যে ধারাপাত, তার খবর কি রাখো?
কষ্ট নিয়ে তুমি স্বপ্ন মুখর থাকো।
ঃ আমি কষ্ট বিলাসী নই। জীবনের পথে যেতে যেতে
কে বলো কষ্ট পায়না? তাই বলে কষ্টকে এতো
ব্যাঞ্জনা কেন দেব? কষ্ট আত্মস্থ করে নতুন স্বপ্নের
মন্ত্রণায় সামনের পথে পা বাড়াবো।
ঃ স্বপ্নের মন্ত্রণা না, ছাই! এ সব কথা শুনলে আমিও
অন্যলোকে হারাই। তবু বলি, স্বপ্ন নিয়ে
আছে তোমার এক ধরনের মোহ। স্বপ্নগ্রস্থ বাতিকও
বলা চলে! আর আমি সদায় ভাসি চোখের জলে।
ঃ যে হিরণ¥য় জীবনের স্বরলিপি খোঁজে, সেই তো
স্বপ্ন বিলাসী হয়। কষ্টের ধারাপাতে
মুষড়ে থাকা জীবনের পরাজয়। নয়?
ঃ আমি ভাবি, তুমি কবি, না মানুষ। উড়াও কেবল কথার
ফানুস! বলতো ভেতরের চাপা কান্না, হৃদয়ের
রক্তক্ষরণ, হঠাৎ বুক ছাপিয়ে বেরিয়ে আসা
দীর্ঘশ্বাস-সব কিছু কি এক লহমায় কোন স্বপ্ন এসে
করতে পারে জয়? এমনও কি হয়?
ঃ স্বপ্নের সঙ্গে প্রেম, প্রেমের সঙ্গে জীবন যখন একবৃন্তে
দাঁড়ায়, দগ্ধ অতীত ফেলে মানুষ সামনের দিকে পা বাড়ায়।
ঃ অতীত সেও তো নিখাঁদ মায়া! দীর্ঘশ্বাসের নিভৃত ছায়া!
তুমি কবি বলেই তোমার স্বপ্ন দেখার শক্তি অফুরাণ।
আমি আঁধারে কান পেতে শুনি সূর্য ওঠার গান।