তুমি কানের কাছে মুখ এনে বললে,
‘কী চাও বলো? আমি দিতে পারি চিতার
অগ্নি-গঙ্গার জলও। বৃষ্টির মিছিল চাও, তেপান্তরের গাও!
নীলকণ্ঠের বিষ বা শুভাশীষ, এই নাও! তোমার
সামনে রেখেছি নদীর যৌবন, পাহাড়ের নিঃসঙ্গতা,
দীর্ঘশ্বাসে বুনে রাখা অনুরাগ-আকুলতা। যা খুশি নাও,
আমার অশ্রুজল, তাও! তুমি কি আমাকে আলিঙ্গনে
জড়াতে উন্মুখ, আমার বুকে লুকাতে চাও মুখ?
আজ আমি উজার করে তোমাকে দেব সব। ভোরের
প্রার্থনা দেব, নিশির নৈবদ্য, অরণ্যের বিলাপ, ফুলের সৌরভ..!
আকাশ ওড়না চাও, নক্ষত্রের ঝুনঝুনি? পোষা
বেড়াল-ময়না, মুক্ত বিহঙ্গ টুনটুনি? কবিতার উষ্ণতা
নেবে, গদ্যের ঝাঁঝ? আছে সমপর্ণের অভিলাস,
কামনার লাজ। দিতে পারি অনিন্দ্য অনাবিল আজ!
বলো কী চাও, উদার আমি যা খুশি নাও!
অবহেলার স্তূপ থেকে আমি মুখ তুলে বলি, কী
দিয়ে ভরে দেবে নিঃশ্বের ঝুলি? যে জীবন নির্বাসনের
ফাঁদে, গুমড়ে গুমড়ে কাঁদে হবে কি শাপমোচন?
ভালবেসে দেবে কি একটি দীঘল চুম্বন!