তোমার অহংকারের সামনে
আমি মাথা তুলে দাঁড়াতে পারি না
এ কথা জেনেও, তুমি অহংকারের তরবারিতে
আমাকে খণ্ডিত করো
এ নিয়ে তোমার এক ধরনের অহংকার।
আমারও ছিল রাজ্য, রাজপ্রাসাদ…
সোনার মিহিন সূতোর পোশাক ঝলমল করত গায়ে
উদার হাতে বিলিয়েছি মূল্যবান উপঢৌকন
প্রতিটি ভোর শুরু হতো হাজারো স্তবকের বন্দনায়…
তোমার জন্যে একদিন ছেড়েছি সব
ছুড়ে ফেলেছি সোনার পোশাক
ভেতরের নিঃসঙ্গতার হাহাকার
ঘুম পাড়িয়ে রাখতে তোমার কাছে ছুটেছি নিশি-দিন
দুর্গম পথে রক্তাক্ত হয়েছে কোমল পা
তুমি বুকের ওড়নায় দিয়েছ বেঁধে আমার পা
চোখের সামনে একেকটা পাহাড় নদী হয়ে গলে পড়েছে
আমি অনায়াসেই সঁপেছিলাম নিজেকে তোমাতে…।
তোমার চারপাশে এখন নক্ষত্রের ঝিলিক,
কেউ কেউ ঝাঁপ দিতে চায় তোমার অহংকারের আগুনে
তুমি সকলের কেন্দ্রবিন্দু,
নিজের দীনতায় তোমাতে খুঁজি আজ
আমার স্বরলিপি
আর তুমি অহংকারের তরবারিতে আমাকে কেবল খণ্ডিত করো!