হাওয়ায় ভেসে আসে তোমার স্বপ্নরেণু, মদিরতা
ছড়ায় অরণ্য ছায়ায়, সমুদ্র জলে বিগলিত ঢেউ, পাহাড়ের
একাকীত্বে পেখম ছড়ায় গাম্ভীর্য। ইথারে ইথারে যেই
উড়িয়েছো আকাঙ্খার পরাগ, পৃথিবীর কোথাও বিধৃত হতে চায় না
অস্তরাগ! সূর্য আরো উজ্জ্বল হয়ে ওঠে, কাঁঠাল-চাপার বনে
সব কুড়ি ফুল হয়ে ফোটে, মঙ্গল গ্রহেও ‘বসন্ত’ উৎসবে মাতে।
যে ঝরা পাতা বিবর্ণ বেদনার কথা বলে, যে কুড়ি
প্রস্ফূটনের স্বরলিপি না জেনে সমর্পিত হয় কুয়াশা ভেজা
ভোরের কার্নিসে, সেই ঝরা পাতা-কুড়ি ঝরে যেতে যেতেও
ক্ষণস্থায়ী জীবনের মহিমা খুঁজে পায়। তোমার অব্যক্ত কথার রঙধনু
পৃথিবী ছাড়িয়ে আলোকবর্ষ দূরে বা আমার কর্ণকুহরে এক
অমর কাব্য শোনায়, হাজার বছরের অভিশপ্ত দীঘল ঘুম ভেঙ্গে জেগে ওঠি
আমি এ যুগের লখিন্দর! চিৎকার করে বলি, ‘তুমিই আমার বেহুলা,
তোমার সঙ্গে দেখা হবে জন্ম থেকে জন্মান্তর।