আমার বুকের পাঁজরে পাথর ঠুকে
পরখ করে নিলে হীরক খণ্ড,
ভাঙাচোরার কতটা দুঃসহ যন্ত্রণা
চেপে রাখলাম, জানতেও চাইলে না;
দু’চোখের দ্যুতি নিয়ে বাড়ালে পাথরের উজ্জ্বলতা
ঝাঁঝাল দুপুরের গুমোট মৌনতার মতো
পড়ে রইলাম নিঃসঙ্গ পথের বাঁকে।
কালের পিঠে লেগে রইল রোদের জলুস,
জোৎস্নার লাবণ্য—
অভেদ্য এক পর্দা টেনে
বিভাজন করে পৃথিবী
সুন্দরের সুষমা খোঁপায় রাখলে গুঁজে।
আমার অগোছাল দিনলিপিতে পেখম ছড়াল
স্যাঁতসেঁতে অন্ধকার।
তুমি কলহাস্যে ভেতরের আগুন উস্কে
ঝলসে দিলে সজীবতা
নিবিষ্টমনে তুমি নিলে স্বপ্নের রং
আমার সবুজাভ আকাক্সক্ষার আস্ফালন
করতলে বন্দী করে
চলে গেলে বিভাজিত পৃথিবীর উৎসবে।
কতটা নিঃস্ব করে গেলে, জানলে না!