তুমি সামনে এসে দাঁড়ালে
খোলা তরবারির মতো সপ্রতিভ
আমার ভেতরে উচ্ছ্বাস যতটা পেখম ছড়াল
তার চেয়ে ঢের বয়ে গেল ঠাণ্ডা স্রোত
যেন হাজার বছরের ইতিহাস ভেঙে
নতুন ইতিহাস সৃষ্টির মাহেন্দ্রক্ষণ, মুখোমুখি!
সামনে ধাঁধিয়ে আছে পৃথিবীর সব আলো,
তোমার হাসিতে মোনালিসার চেয়েও গভীর রহস্যের ঝলকানি!
আমি বিমূঢ় হতে হতেই সহজপাঠে পড়ে নিচ্ছিলাম তোমাকে
তোমার দু’চোখে কত্থকের মুদ্রা, অভিব্যক্তি ব্যঞ্জনাময়।
আমার চোখে হামলে পড়ল পেঁজামেঘ আর রোদের তির্যক
আমি জমে একাকার অদ্ভুত বিহ্বলতায়।
আমার গাঢ় চোখে ফেললে না কোনো ছায়া
দুর্বোধ্য কবিতার মতো হলাম অবহেলিত
তুমি স্বপ্নের সব রং মুছে
সব কথা, আকুলতা— এক ঝটকায় উড়িয়ে বললে, ‘যাই’!
আমি ভেঙে ভেঙে নদী, নদী থেকে সমুদ্র
অথবা অস্তিত্ব থেকে মহাশূন্য হয়ে যাই।