যেন পৃথিবীটা থেমে আছে দমহীন ঘড়ির কাঁটার মতো
স্থিরচিত্র। কলাভবনের বিস্তৃত শূন্যতা জুড়ে স্মৃতিপদচিহ্ন শুধু।
সর্বত্র স্মৃতির মতো খা খা করিডোরে, ঘাসে, ইটে,
কংক্রিটের শুয়ে-থাকা পিঠে পা ফেলে আমি একা হাঁটছি এখনো।
মনে হয় সব কিছু অনন্ত সময়, শেষবার দেখে নিচ্ছি,
চলচ্চিত্রের সর্বশেষ প্রদর্শনী হচ্ছে এখন।
যেন এই প্রেক্ষাগৃহে আর কোনোদিন
একদা মুখর করে রাখা মানুষেরা ফিরবে না।
যেন সব প্রয়োজন শেষ হয়ে গেলে
সিনেমা সেটের মতো পরিত্যক্ত নকল এলাকা
অকস্মাৎ গ্রীষ্ম এসে দিয়েছে জ্বালিয়ে।
আমি একা, প্রজ্বলন্ত অগ্নির ভিতরে বসে আছি,
ভীষণ চিৎকার করে ডাকছি তোমাকে।
–প্রতিধ্বনি ফিরে আসে, তুমি নেই,
কী সুন্দর কোলাহল ছিল, কোলাহল নেই,
আমার বিকৃত ছায়া শুধু অপমান করছে আমাকে।
আমি তবে কার কাঁধে ছায়া রেখে হাটছি এখনো?
তোমাকে পাহারা দিচ্ছি, চোখে চোখে রাখছি দালান;
কে জানে কখন তুমি নির্জন অভিমানে অনন্ত খাদের মধ্যে
ডুবে যাবে, অতল আঁধার থেকে আর উঠবে না,
ভবিষ্যৎ পাবে না তোমাকে।