দাঁত মাজনের কয়লায় কালো চুল,
লম্বাটে মাথা, বামপাশে রবে সিঁথি,
কপালে সর্বনাশের চিহ্নরেখা;
কোটরে আগত চোখের অন্ধকারে
উদ্ধত নাক পলাতক খুনী একা।
রুখে দাড়িগুলো হবে ঘন ঝাউবীথি।
আড়াআড়ি করে হাত দুটো রবে বুকে,
কণ্ঠের হাড় চিকন বাঁশির মতো,
ডানহাতে কালো একটি একাকী তিল;
রক্তে রঙিন রোগের জীবাণু রবে,
দু’হাতেই ভাসা উপশিরাগুলো নীল—
বামহাতে গাঢ় লাল-বাসনার ক্ষত।
ভালোবাসা নেই, অভাবের, বেদনার
পা-দুটো কোমল মগ্ন মাটিতে রবে,
উল্টানো নখে শৈশব হবে বাঁধা।
শিশিরের মতো পরমায়ু যাবে খসে,
পাপ-পুণ্যের নদীতে তখনো রাধা
ভাসাবে প্রদীপ মৃত্যুর উৎসবে।
পিঠের বাঁকানো মাংস ধনুর মতো,
বুকের নিচেই কালো প্রহারের দাগ;
দীর্ঘ-দেহের রুগ্ণ অমিতাচারে
অতনু আমার অঙ্গের বিষে নাগ।