Poem

প্রফেসর ডঃ ভোরের ক্লাসে

প্রবর রিপন

ভোরে একা জ্বলতে থাকা তারাটিকে ঘুমিয়ে যেতে বললে

অনেকদিন স্বপ্ন দেখেনা এমন কোন মানুষের মত

চিন্তা লেশহীন মনে আকাশের দূর শূন্যগর্ভে ফ্যাকাশে চোখে তাকিয়ে থাকে,

কলকারখানার চিমনি দিয়ে সেই দুরের দিকে

উঠে যাচ্ছে ধোঁয়া

তাকে থামতে বলা কি বোকামী হবে!?

পাকস্থলীর দুঃশ্চিন্তার মত ঘনসুখে

সে কোন এক Universal আশ্বাসকে আঁকড়ে ধরতে চায়।

না; থামতে হবে তাই আমাকেই

এই কাউকে থামানো থেকে

এবার আমাকে ঘুমোতে হবে

তারার ইনসমনিয়া আর চিমনির ডায়াবেটিকস রোগ ভুলে।

ভোরের পথে দেখা হলো এক সার্কাস দলের সাথে

তারা ফিরছিল তাদের দলের প্রধান ভাঁড়কে কবর দিয়ে

ঐ সেই ভাঁড় যার লাফঝাপ আর ভাঁড়ামো দেখে

হাসির চোটে থেমে যেত আমাদের দম

অবশেষে সে থামাতে পারলো না মৃত্যুর দম-তার পেশাদার ভাঁড়ামো দিয়ে।

কিছুদুর গিয়ে দেখলাম এক পৌরানিক বর্ণের বুড়ী

আকাশ থেকে গনগনে সূর্য ছিড়ে এনে যে পুরে দিচ্ছিল তার জঠরে

আমি জানতে চাইলাম কেন সে এটা করছে;

প্রায়াশ্চিত্ত করছে তার একমাত্র ছেলের মহা অপরাধের

আইনে মাষ্টার্স ডিগ্রী নিয়েও সে নাকি ছুরি কিনে বিধে দিয়েছে নিজের বুকে

আত্মহত্যার প্রায়াশ্চিত্ত করছে অপরাধী জন্মানো এক মা – এক কুবৃক্ষ।

না এবার আমাকে থামতেই হবে

এই অন্যকে থামানো থেকে

এবার বুঝি আমাকে কাঁদতে হবে

এসব দেখে হাসতে ভুলে গেছি বলে।

গর্ভবতী বৌকে কাধে নিয়ে হন্তদন্ত ছুটে চলা এক কবি

আমার কাছে জানতে চাইলো “কোথায় গাইনী ডাক্তারের বাড়ী”?

যুদ্ধে যে শহরটি কেবলই পুড়ে গেছে

সেখানে যাওয়ার পথ আমি তাকে দেখিয়ে দিলাম।

পঁচা নাড়ী-ভুড়ী দিয়ে বানানো কোর্ট পরে একজন প্রেসিডেন্ট তার জারজ ছেলেমেয়েদের রক্ত প্যালেটে নিয়ে

তার অকালে অক্কা পাওয়া মেয়ের Portrait আঁকানোর জন্য

আমার কাছে জানতে চাইলো “কোথায় চিত্র-artist এর বাড়ী”?

আমি তাকে বললাম “জব্বর কসাই-এর ১৩ No বাঁজা-বিধবা বউ

এই পৃথিবী তল্লাটের সবচেয়ে স্বনামধন্য গুনী চিত্রশিল্পী।”

না-; ভালো লাগছে না

না-; খারাপও কি লাগছে আসলেই!?

না আমাকেই তাই থামতে হবে তোমাদেরকে থামানো থেকে

এবার আমাকে আকুরিয়ামের Purple মাছের Ultra marine চোখের অতলে

পোড়াতে হবে স্বপ্নের নাভীতে লুকিয়ে রাখা মানচিত্রের খোলা চোখ,

আমার এই ভস্ম ডাইরীর পাতাগুলো যেন না হয় তোমাদের future এর নীতির দলিল।

আমি এই ঘন শীতে শ্রদ্ধেয় প্রফেসর ডঃ ভোরের ক্লাসে

বড় নগ্ন হয়ে বসে আছি

আকুরিয়ামে পোড়াতে হবে নীল সব সমুদ্রের মানচিত্র।

আমি চাই উত্তাপ, স্যার সেটা যদি

আপনার বউ-এর অভিজ্ঞ ডক্টরেট যোনীতেও থাকে

তবু পাঠ্যক্রমের শিক্ষা হিসেবে তাই দিন আমাকে

আমার খুব শীত লাগছে, চাই শীতকার কারো

আমি আপনার কুমারী মেয়ের

Bra এর নিচের নরম নগ্নতার থেকেও বেশী নগ্ন

আমার খুব শীত লাগছে

মাংসের নিচে রক্তের লাল নগ্নতা থেকেও আমি নগ্ন

আর আপনার অন্ডোকোষের চেয়েও আমি শীতল

লবন মাখা সমুদ্রের নোনা জ্ঞনের মতো করে আপানার মাংস ছিঁড়ে দেন

আমার খুবী খিদে আর শীত লাগছে- খুব বেশী,খুবই বেশী।

Author Bio

More

This post views is 2502

Post Topics

Total Posts

9 Published Posts