কেন জ্বালাচ্ছ,
কোথাও তো আর যাই না এখন!
কিন্তু পায়ের নূপুরে রিং-টোন বাজলেই
চুরি মনে চলে যাই ঐ নাসপাতি তলে
যেখানে এ বিষম বয়স সন্ধির আগে
পানকৌড়ির রোম আর রোদ ছিল
বীজের ব্যাপক আকাঙ্ক্ষা ছিল
স্বাদু বিস্কুটের মতো ছিল তার সেন্ট
আর চা ছিল তরল অভ্যাস।
তখন তপ্ত দিনে
ঘামে আর কামে
মেজাজের মাঠা বানাতাম—
বোদলেয়ারের বালা পরে মধু মাসে
ব্যাঙ্কের বালুসাই, কফি কফি স্মৃতি,
বিট লবণে মাখা ঝালমুরি সংবাদ
সব নিয়ে পা বিছিয়ে বসতাম।
ক্রিসমাসে কবিতার ফুলক্রিম,
ঈদে বন্ধু ভাসা সেমাই,
পুজোয় বাগান বিলাসের নিচে
জলসার প্রাণমাখা টোস্ট এবং হানুকায়
প্রবাসী প্রিয়দের পাঠানো প্রেশারপিল খেতাম।
আসলে নিজস্ব ডি-টক্সই অভ্যাস ছিল।
ফিল্টার বিহীন সুখটানে মটকা মেরে পড়ে থাকতাম অচেনা ঘণ্টার শেষ ফোঁটা পর্যন্ত।
এদিকে তিনি তখন পোর্সেলিন পিরিচে
ফুঁ দিয়ে দিয়ে পান করতেন আমাকে—
আর আমি নাশপাতির লকার খুলে
দৌড়ে এসে উইদাউট সুগারে তাহারে।